নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ আগস্ট ২০২৪
ধ্বংস, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসার পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সমাজে গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর কারাভোগ থেকে স্থায়ী মুক্তি লাভের পর আজ বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনের বিশাল সমাবেশে ভার্চুয়ালি দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান। তিনি বলেন, ধবংস, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা নয়, আমাদেরকে শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আসুন আমরা তরুনদের হাত শক্তিশালী করি। আর ধবংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বেলা পৌনে তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মুহুর মুহুর করতালির মধ্য বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বক্তব্য রাখবেন বলে ঘোষণা দেয় মঞ্চ থেকে। মুহুর্তে বাঁধ ভাঙা করতালির মধ্যে নেতা-কর্মীরা হাত তুলে তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর জন্য বড় পর্দায় চোখ রাখে।
হাসপাতালের কেবন থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন্ত ছবি ভেসে উঠলে নেতা-কর্মীদের উচ্ছাসে গোটা নয়া পল্টনে মুখরিত হয়ে উঠে। ২০১৮ সালে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সর্বশেষ তিনি রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন। এরপর থেকে তিনি কোনো সমাবেশে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের সামনে আসতে পারেননি। তাকে দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার তিনি রাষ্ট্রপতির আদেশে স্থায়ী মুক্তি পান।
নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। আমি কারবন্দি অবস্থায় আপনারা আমার কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, দোয়া করেছেন সেজন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যাবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম-ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের কাছ থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমাদের বীর সন্তানদের যারা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। শতশত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা। আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিজয় আমাদের নতুন সংগ্রামে নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্ণীতি ও গণতন্ত্রের স্তুপ থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ছাত্র-তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রত্যেককে মেধা, যোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সকল ধর্মের-বর্ণের, গ্রোত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, শান্তি, সমৃদ্ধি, আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে আসুন আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি।
জা ই/ এনজি