সকাল ৮:১৫ | বৃহস্পতিবার | ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দিল ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ আগস্ট ২০২৪, ১৩: ৫১

 

 

ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে রোববার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এভাবে দেখা যায়ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার একটু পরেই তাঁরা ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের একটি গাড়িতে বেরিয়ে আসেন।

ডিবির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) আজহার মুকুল ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। আজ সকালে ছয় সমন্বয়কের পরিবার ডিবি কার্যালয়ের ভেতরে গিয়েছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে গত শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে আনা হয়। তাঁরা হলেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের। তাঁদের মধ্যে নাহিদ ও আসিফ সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকের তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। পরদিন সন্ধ্যায় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে আসে ডিবি। এরপর রোববার ভোরে মিরপুরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকে তাঁরা মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আছেন। ডিবির দাবি, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় এক বন্ধুর বাসা থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। এক দিন পর পূর্বাচল এলাকায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয়। নাহিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল আঘাতের চিহ্ন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও একই দিন তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর তাঁদের দুজনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় যেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে ফেলে যাওয়া হয়। এরপর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাকেরও।

ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালাতে নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন দুই আইনজীবী। তাঁরা হলেন আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। গত সোমবার ও মঙ্গলবার রিটের ওপর হাইকোর্টের এই দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হয়। আদালতের গতকালের কার্যতালিকায় রিটটি আদেশের জন্য ১০ নম্বর ক্রমিকে ছিল।

আদালত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অসুস্থতার কারণে বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়েছেন। এ জন্য গতকাল শুনানি হয়নি।

 

জা ই  /এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *