এনজি ডেস্ক
২৩ মে ২০২৫
বর্ণাঢ্য আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) ওয়ার্ল্ড প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া ডে উদযাপিত হয়েছে। দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল Ask me about PE অর্থাৎ প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন, জানুন।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি সূচনা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল আলম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. আসাদুজ্জামান, গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রাশিদা খানম, ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিট হেড অধ্যাপক নাসরিন আক্তারসহ ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীরা।
ঢামেকের ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে শোভাযাত্রা আলোচনা সভা ও প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া রোগের
উপসর্গ, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধ এর চিত্র তুলে ধরা হয় একটি নাটিকার মাধ্যমে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন ফিটোমেটারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আরিফা শারমিন মায়া।
বক্তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক তথ্য ও সচেতনতা আগামী দিনে প্রি-এক্ল্যামসিয়া থেকে জীবন রক্ষা করতে পারে। আজকের এই দিনে, আসুন আমরা অঙ্গীকার করি, সচেতনতা ছড়াব, মায়েদের পাশে দাঁড়াব, এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবো।
প্রসঙ্গত, প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া একটি গুরুতর গর্ভকালীন সমস্যা। যা উচ্চ রক্তচাপ এবং অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতির মাধ্যমে দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে বহু মা ও নবজাতকের মৃত্যু বা জটিলতার পেছনে এই রোগ দায়ী। আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুর ২য় অন্যতম কারণ হলো এক্ল্যাম্পসিয়া। এটি এমন একটি গর্ভকালীন রোগ, যা অনেক সময় পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই দেখা দেয়। কিন্তু যদি সময়মতো শনাক্ত করা যায় এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করা হয়, তবে বহু জীবন রক্ষা সম্ভব। সবচেয়েে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক সময়ে গর্ভকালীন চেকআপে আসলে তার উপসর্গ, ওজন, রক্তচাপের মাত্রা, রোগীর আগে থেকে অন্য কোনো ক্রনিক রোগ (ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ) আছে কিনা, পরিবারে করো হাই প্রেসার ছিল কিনা বা ডেলিভারির সময় খিঁচুনি হয়েছিল কিনা এসবের ওপর ভিত্তি করে একটি রিস্ক মডেল রয়েছে যাকে Gestosis score বলে। স্কোর ৩ এর সমান বা বেশি হলে সেই মায়ের পরবর্তীতে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ সময় সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী একটি ওষুধ যদি রোগীকে দেওয়া যায় তাহলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জ উ / এনজি