বিশেষ সংবাদদাতা
২০ মে ২০২৫
এশিয়ার প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্রজেন দাস। ১৯৬৮ থেকে ১৯৬১ সাল- এ সময়ের মধ্যে ব্রজেন দাস ৬ বার এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে কম সময় চ্যালেন পাড়ি দেওয়ার রেকর্ডও আছে তার। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে মোশারফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।
৩৭ বছর পর বাংলাদেশের দুই সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন। এই দুই সাঁতারু হলেন- মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া যে কোনো সাঁতারুর জন্যই স্বপ্ন। তবে সাঁতারের জন্য স্লট পাওয়া যায় না। কখনো এটা সাঁতারুদের জন্য হয়ে পড়ে ব্যয়বহুল। বাংলাদেশি দুই সাঁতারু ৭ জুলাই যুক্তরাজ্য গিয়ে ১০ দিনের মতো অনুশীলন করবেন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার ৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের সংবাদ সম্মেলনে এসে এই সুসংবাদটি দেন বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন।
কিশোরগঞ্জের সাঁতারু হিমেল বলেন, ‘প্রায় ৩৭ বছর পর আমরা দুজন বাংলাদেশি যাচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটা একটা ব্রেক থ্রু। এটা গর্বের বিষয় এবং আশা করি এখন যে প্রজন্ম আছে তারাও আমাদের থেকে অনুপ্রেরণা পাক।’
অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু সে সবের জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন এই সাঁতারু, ‘ওখানে জেলি ফিশ আছে। পানির তাপমাত্রা সেখানে ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি। তবে আমি চীনে ১৯ ডিগ্রিতে সাঁতার কেটেছি। খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে ১৫ ডিগ্রি হলে চ্যালেঞ্জিং থাকবে।’
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে একজন সাঁতারুর প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন থেকেও তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মূলত ২০২৮ সালের আগে কোনো স্লট পাচ্ছিলেন না। তবে কলকাতার দুই সাঁতারুর সহযোগিতায় এই বছর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সুযোগ মেলে তাদের। যে কারণে চার সাঁতারু মিলে একটা র্যালি করবেন ইংলিশ চ্যানেলে।
জ উ / এনজি