ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
১৯ মে ২০২৫
প্রশ্ন: কুরবানি যদি কারো সঙ্গে ভাগে নেওয়া হয় কিন্তু তাদের মধ্যে কারো উপার্জন হারাম হয় কিন্তু সেটা আমার অজানা, সেক্ষেত্রে কুরবানি হবে কিনা? আর যদি আমার জানা থাকে তার উপার্জন হারাম সেক্ষেত্রে কী করণীয়:
উত্তর: কারো ব্যাপারে যদি একথা নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, তিনি হারাম টাকা দিয়েই কুরবানি দিচ্ছেন তাহলে তার সঙ্গে কুরবানি করা জায়েজ হবে না।
এরকম ব্যক্তির সঙ্গে কুরবানিতে শরিক হলে ওই পশুতে শরীক সবার কুরবানি বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং সতর্কতার সঙ্গে শরিক নির্বাচন করা জরুরি। (খুলাসাতুল ফাতওয়া ৪১৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি পবিত্র (মালই) কবুল করে থাকেন। (মুসলিম ২৩৯৩, তিরমিযী ২৯৮৯, দারেমী ২৭১৭)
পক্ষান্তরে বিষয়টি যদি অজানা থাকে, তাহলে তার সঙ্গে কুরবানি করা জায়েজ হবে।
কেননা, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। (সুরা বাকারা ২৮৬)
কার উপর কুরবানি ওয়াজিব
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন-অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।
টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বর্তমানে বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হল সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া।
আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।
যেমন কারো নিকট কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা আছে, যা সর্বমোট সাড়ে বায়ান্ন তোলা চাঁদির মূল্য সমান হয় তাহলে তার উপরও কুরবানি ওয়াজিব। আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫
মি হো/ এনজি