সালাতের শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে আদর্শ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সকলকে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

রোববার বাদ আছর রাজধানীর শেওড়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদে কাফরুল পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর আব্দুল মতিন খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আতিক হাসান রায়হানের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন, কাফরুল জোন টিম সদস্য তারেক রেজা তুহিন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মতিউর রহমান ও সুলতান মাহমুদ, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ ছায়েফুল্লাহ, নাসিমুল আলম, আমিনুর রাহমান আমান, খন্দকার মাহবুবুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ও সর্বজনীন জীবনবিধান। তাই আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হতে বলেছেন। ইসলামের সুবিধাজনক বিষয় মানবো, আর অন্যগুলো মানবো না-এমনটি করার কোন সুযোগ নেই বরং জীবনের সকল ক্ষেত্রেই ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলামের অনুশাসন পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় ক্ষেত্রেই আমাদেরকে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আদালতে আখেরাতের ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ করে সকলকে নামাযের বিষয়ে অতিশয় যতœশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নামায আল্লাহর দেওয়া বিধান ও শেখানো পদ্ধতি। আর আল্লাহর রাসূল (সা.) আসরের নামাজের বিষয়ে বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। এ নামাযকে সালাতুল উসতা হিসাবে উল্লেখ করে বিশেষভাবে যত্মশীল হওয়ার নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। তাই আমাদেরকে নামাজের শিক্ষার আলোকে জীবন গঠন করে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করতে হবে। বস্তুত, নামাযই আখেরাতের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্যতম মাধ্যম। কারণ, ইয়াওত তাবাগুন তথা হাসরের ময়দানে সবার আগে নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নামাজের শিক্ষা ব্যক্তি জীবন, পরিবার ও রাষ্ট্র গঠনে আত্মনিয়োগ করা। তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।