বিকাল ৩:৩৮ | শনিবার | ২৪ মে, ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, গ্রীষ্মকাল | ২৫ জিলকদ, ১৪৪৬

নামাজি যুবককে ধরে নিয়ে জঙ্গি সাজানো হতো: প্রসিকিউটর তামিম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৭ মে ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে কথা বলছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম/ছবি সংগৃহীত
ইসলামফোবিয়া বা ইসলামের প্রতি মানুষের ভয় সৃষ্টি করার জন্য নামাজি বা কোনো ইসলামি বই পড়ুয়া যুবককে ধরে নিয়ে জঙ্গি সাজানো হতো বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণ হত্যার ঘটনায় বুধবার (৭ মে) ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গাজী তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কাউকে গ্রেফতারের পর ইসলামি বই বা হাদিসকে জিহাদি বই বলে প্রচার চালাতো। আর কোনো যুবককে গ্রেফতারের পর জঙ্গি সাজিয়ে মানুষের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করতো।

এদিন তিনি জানান,‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে কল্যাণপুরে জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণ হত্যা মামলার ঘটনায় মুখ খোলেননি পুলিশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। তারা হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক (আইজিপি) শহীদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিন মোল্লা। তাই তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ফের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে শহীদুল হককে ২৫ মে, আছাদুজ্জামান মিঞাকে ২৭ মে ও মোল্লাকে ২৯ মে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা। এছাড়া এই হামলায় তদন্ত শেষ করতে প্রসিকিউশনের আবেদনে ফের দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও ফারুক হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর গত ২৪ মার্চ পুলিশের সাবেক এই তিন কর্মকর্তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।

গুলশান হামলার ২৫ দিন পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির পঞ্চমতলায় অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়িটির নাম তাজ মঞ্জিল হলেও ভবনের আকৃতির কারণে স্থানীয়রা একে জাহাজবাড়ি বলেন, আর সেই নামটি গণমাধ্যমেও উঠে আসে।

অভিযান শেষে সন্দেহভাজন ৯ ‘জঙ্গির’ নিহত হওয়ার খবর আসে। হাসান নামে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হন। পালিয়ে যান একজন। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলেই দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পরদিন ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

 

 

জ উ / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *