রাত ১১:২৩ | শনিবার | ২৪ মে, ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, গ্রীষ্মকাল | ২৫ জিলকদ, ১৪৪৬

রোগ সারাতে প্রসাব পান করেন পরেশ, অভিনেত্রী বললেন ‘অমৃত

বিনোদন ডেস্ক
৩ মে ২০২৫

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের একটি বক্তব্য সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে তিনি জানান, হাঁটুর চোট সারাতে নিজের প্রস্রাব পান করেছিলেন!

অভিনেতার এই মন্তব্য শুনে চোখ কপালে উঠেছিল নেটিজেনদের। রোগ সারাতে ওষুধ সেবন করতে শোনা যায়, নানা প্রথাও বেছে নিতে দেখা যায়। তাই বলে প্রসাব পান করা!

অভিনেতার এই মন্তব্য নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, তখন তার পাশে এসে দাঁড়ালেন ‘আশিকি’ খ্যাত অভিনেত্রী আনু আগরওয়াল। তিনি বললেন, “হ্যাঁ, ঠিকই করেছেন পরেশ! প্রস্রাব তো আসলে অমৃত!”

সম্প্রতি মুম্বাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন আনু। ইনস্ট্যান্ট বলিউডের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই মুহূর্ত। সেখানে অভিনেত্রী জানালেন, এই প্রস্রাব পান আসলে ভুল কাজ নয়—বরং তা ‘অমৃত’, যোগশাস্ত্রের একটি প্রাচীন অভ্যাসও।

নায়িকা আরও বলেন, ‘অনেকেই জানেন না বা জানলেও মানতে চান না, নিজের মূত্র একটা গুরুত্বপূর্ণ যোগমুদ্রা। তবে পুরোটা পান করতে হয় না—প্রস্রাবের নির্দিষ্ট প্রথম অংশটাই গ্রহণযোগ্য। সেটাই ‘অমৃত’, যা বার্ধক্য রোধ করে, ত্বক ভালো রাখে—আমি নিজেও উপকৃত হয়েছি।’

বিজ্ঞান এই দাবির পক্ষে কী বলে? আনুকে সেই প্রশ্নও করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, “বিজ্ঞান তো মাত্র ২০০ বছরের পুরনো। যোগের ইতিহাস ১০,০০০ বছরের! তাহলে কার কথা শুনবেন?”

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে পরেশ বলেন, নানাবাতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে দেখতে এসেছিলেন পরিচালক ভীরু দেবগণ। তিনি পরেশকে পরামর্শ দেন— ‘সকালে প্রথম কাজ হিসেবে নিজের প্রস্রাব পান করো। আর মদ খাওয়া বন্ধ করো।’

পরেশ সেই পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মানেন। বলেন, ‘আমি তো ভাবলাম, একবারে খেয়ে ফেলব না—বিয়ারের মতো ঢোক ঢোক করে খাব। ঠিকমতোই তো করতে হবে!’

হাসতে হাসতে যোগ করেন, ‘১৫ দিন পর ডাক্তার আমার এক্স-রে করে অবাক! বললেন, এই সিমেন্টিং কীভাবে হল?’ তার দাবি, যেখানে চিকিৎসক বলেছিলেন দুই থেকে আড়াই মাসে সেরে উঠবেন, তিনি দেড় মাসেই সুস্থ হয়ে যান। এটাই এই অভ্যাসের ম্যাজিক।’

তবে এই ম্যাজিক সবাই মানছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দ্য লিভার ডক’ নামে পরিচিত চিকিৎসক সাইরাক অ্যাবি ফিলিপস লিখেছেন, ‘দয়া করে নিজের প্রস্রাব পান করবেন না। এ ধরনের কাজে কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।’

 

ফা আ/ এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *