সন্ধ্যা ৬:০০ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

২-০ তে পিছিয়ে পড়েও মেসির জাদুতে মিয়ামির জয়, যেন বিশ্বকাপের ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক
১০ এপ্রিল ২০২৫

২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের স্মৃতি মনে পড়লে এখনো আর্জেন্টিনা সমর্থকদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ ও শ্বাসরুদ্ধকর ছিল ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার সেই ফাইনাল। সেই ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুটি গোল করে আর্জেন্টিনাকে শেষমেশ শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি।

এবার ইন্টার মিয়ামির জার্সিতে প্রায় আড়াই বছর আগের সেই স্মৃতি ফেরালেন লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের মতোই আজ বৃহ্স্পতিবার লস অ্যাঞ্জেলস এফসির বিপক্ষেও সমান দুটি গোল করেছেন মেসি। দলও জিতিয়েছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালেও ফ্রান্সের গোলরক্ষক ছিলেন হুগো লরিস, এই ম্যাচেও লস অ্যাঞ্জেলসের গোলরক্ষক হয়ে খেলেছেন তিনিই।

লরিস যেমন বিশ্বকাপে মেসিকে থামাতে পারেননি, তেমনি এবারও পারেননি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মিয়ামির কোচ হ্যাভিয়ের মাচেরানো উল্লাসে মুষ্টি আকাশে ছুঁড়ে দেন।

একটি জায়গায় পার্থক্য আছে। আগেরটি বিশ্বকাপের ফাইনাল হলেও আজকের ম্যাচটি ছিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। তবে এই ম্যাচে জিততেই হতো মিয়ামিকে। কেননা প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরেছিল মেসিরা। এমনকি দ্বিতীয় লেগের শুরুতেই গোল করে ব্যবধান ২-০ করে ফেলেছিল লস অ্যাঞ্জেলস।

তবে সব অনিশ্চিয়তা দূর করে নাটকীয়ভাবে তিন গোলের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে মিয়ামি। দ্বিতীয় লেগে জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে। আর দুই লেগ মিলিয়ে মেসিরা জয় পেয়েছেন ৩-২ ব্যবধানে।

বৃহস্পতিবার মিয়ামির ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ৯ মিনিটে অ্যারন লংয়ের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লস অ্যাঞ্জেলস। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ২-০ করে তারা। এর মানে দাঁড়ায়, মিয়ামিকে অন্তত তিনটি গোল করতে হবে। যা তখন অসম্ভবই মনে হচ্ছিল।

কিন্তু মেসি থাকলে অসম্ভবও সম্ভব হয়।

৩৫ মিনিটে মেসি গোলের শুভসূচনা করেন। ১৮ গজ বক্সের সামনে থেকে বাম পায়ে দুর্দান্ত শটে গোল করে ম্যাচ ১-১ সমতায় আনেন এবং মিয়ামিকে নতুন করে আশা দেন। এটি ছিল মিয়ামির হয়ে মেসির ৪৮ ম্যাচে ৪১তম গোল।

৬১ মিনিটে নোয়া অ্যালেন মিয়ামিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এক অপ্রত্যাশিত গোলে। বক্সে একটি বল চিপ করে ফেডেরিকো রেডোনদোর দিকে বাড়ান তিনি। লস অ্যাঞ্জেলসের গোলরক্ষক লরিস ভেবেছিলেন, রেডোনদো বলটি নেবেন। তাই তিনি গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে আসেন, কিন্তু বলটি ঘাসে লেগে উল্টো দুজনকে ছাড়িয়ে পোস্টে ঢুকে যায়।

৬৭ মিনিটে মেসির পাস থেকে লুইস সুয়ারেজ হেডে গোল করেছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়।

মিয়ামি জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। ৮৪ মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা। হ্যান্ডবলের আবেদন করে সফল হয় মিয়ামি। ভিএআর চেকের পর পেনাল্টি দেন রেফারি। মেসি নির্ভুলভাবে তা গোলে রূপান্তর করেন। এতে মিয়ামি এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে, সেমিফাইনালের টিকিটও নিশ্চিত করে।

গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি শেষ মুহূর্তে দুইটি দুর্দান্ত সেভ করে মিয়ামিকে বাঁচিয়ে দেন। সেমিফাইনালে মেসিদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকোর ক্লাব পুমাস বা ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস।

 

জ উ / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *