সন্ধ্যা ৭:৩২ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল : বাংলাদেশের করণীয় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক কাল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৯ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেটা এ দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য খারাপ খবর। কারণ ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়া নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারে পণ্য রপ্তানি কঠিন হবে। যে কারণে এ বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বৈঠকে বসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন। তবে তিনি নাম প্রকাশ না করতে বলেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয়টি আমরা অবগত। এ নিয়ে আমরা আগামীকাল বৈঠকে বসছি। বৈঠকে বাংলাদেশের করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে বাংলাদেশ ভুটান, নেপাল, মিয়ানমারসহ তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাবে না। যে কারণে রপ্তানিকারকরা বলছেন, তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এরফলে ওই কয়েকটি দেশে পণ্য রপ্তানি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতের স্থলপথ ব্যবহার ছাড়া ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো দেশের পণ্য পৌঁছানো কঠিন। এতদিন ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ভারতের ভূমি ও অবকাঠামো ব্যবহার করে কম খরচে ও কম সময়ে এসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার সুবিধা পেয়ে আসছিল বাংলাদেশ।তাছাড়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক অন্য দেশে রপ্তানির বিষয়টিও বাধাগ্রস্ত হবে।

ভারতের পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সমর্থনের অভিপ্রায়’ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ড্যানিশ ফুডের হেড অব বিজনেস দেবাশীষ সিংহ বলেন, ভুটান, নেপাল কিংবা মিয়ানমারে পণ্য পাঠানো কঠিন হয়ে পড়বে। একভাবে বলা যায়, এসব দেশে খাদ্যপণ্য পাঠানো বন্ধ হয়ে গেলো। ভুটান ও নেপালে পণ্য পাঠানোর আর কোনো অপশন নেই।

তিনি বলেন, ভুটান ও নেপালে বছরে দুই লাখ ডলারের খাদ্য পণ্য রপ্তানি করে ড্যানিশ ফুড। প্রাণ, স্কয়ারসহ আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদের বড় বাজার রয়েছে। এসব দেশে উড়োজাহাজযোগেও পণ্য পাঠানো যায় না। খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে এই দুটি দেশের বাজার বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলবে। এটা বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হলো।

 

টি আই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *