দুপুর ২:০৮ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ সিদ্দিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩ এপ্রিল ২০২৫

 

 

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে তার ‘আইনজীবীরা প্রস্তুত’।

এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ একবারের জন্যও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলেও দাবি করেছেন লন্ডনের এই এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব দাবি করেন বলে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

টিউলিপ সিদ্দিক স্কাই নিউজকে বলেছেন, “বাংলাদেশে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পর্কে যেকোনও আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের জবাব দিতে তার আইনজীবীরা প্রস্তুত”।

বাংলাদেশি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার জন্য তিনি অনুতপ্ত কিনা জানতে চাইলে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, “আপনি আমার আইনি চিঠিটি কেন দেখেন না এবং দেখেন না যে আমার কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আছে কিনা… (বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ) একবারও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি এবং আমি তাদের কাছ থেকে শোনার জন্য অপেক্ষা করছি”।

বাংলাদেশে দুর্নীতির একাধিক তদন্তে নাম আসার পর লন্ডনের এই এমপি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মূলত দুর্নীতির দায়ে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছিলেন যুক্তরাজ্যের সাবেক এই সিটি মিনিস্টার। শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠের থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগের মুখে একপর্যায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন টিউলিপ।

সরকার ছাড়ার পর প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্যে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, “কয়েক মাস ধরে (দুর্নীতির) অভিযোগ আসছে এবং কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি”।

গত মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্কাই নিউজকে বলেন, ব্রিটিশ এই এমপি বাংলাদেশে “বিপুল সম্পদ রয়েছে” এবং তাকে জবাবদিহি করা উচিত। পরে টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষে কাজ করা আইনজীবীরা কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি লেখেন এবং সেখানে অভিযোগগুলোতে “মিথ্যা এবং বিরক্তিকর” বলে আখ্যায়িত করেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, কোনও প্রশ্ন থাকলে দুদককে “২০২৫ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে” টিউলিপ সিদ্দিককে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে, অন্যথায় “আমরা ধরে নেব যে উত্তর দেওয়ার জন্য কোনও বৈধ প্রশ্নের অবকাশ নেই”।

এদিকে বুধবার অনলাইনে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাজ্যের সাবেক এই মন্ত্রী বলেছেন, (প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার) সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে এবং কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দেয়নি। স্কাই নিউজ এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলো তার খালা শেখ হাসিনার সাথে তার সংশ্লিষ্টাতার ওপর কেন্দ্র করে সামনে এসেছে। হাসিনা ২০ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

 

শ ই/এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *