
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরোনো আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। প্রথম থেকেই পুলিশ সহনীয় ভূমিকা পালন করেছে। যার কারণে রাষ্ট্রপতি বরাবর শিক্ষার্থীরা তাদের স্মারকলিপি সরাসরি প্রদান করতে পেরেছেন।
যাত্রাবাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কোনো বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এত রাতে সেখানে যাওয়ার কথা না। আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট ক্যাডার বাহিনী জড়িত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এরমধ্যে নেই।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেজ থেকে ছাত্রলীগকে দোষারোপ করে চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগ কোথাও আক্রমণ করেনি। তারা আক্রান্ত হয়েও ধৈর্য ধারণ করছে। আমরা গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে সমর্থন করি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এমএ / এনজি