রাত ৮:৫১ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ভালো শেয়ারে ভর করে বাড়লো সূচক-লেনদেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১০ মার্চ ২০২৫

 

পতন থেকে বেরিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। শেয়ারবাজারে এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা নিয়ে আসতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে ভালো কোম্পানি। বেশিরভাগ ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় মূল্যসূচকে যেমন ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তেমনি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১০ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এরপরও বাজারটিতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজারটিতেও মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে মূল ভূমিকা পালন করেছে ভালো কোম্পানি।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি থাকে ‘এন’ গ্রুপে। তালিকাভুক্তির পর একটি আর্থিক বছর পার হলে কোম্পানিগুলো ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’ গ্রুপে বিভক্ত হয়।

এর মধ্যে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানির স্থান হয় ‘এ’ গ্রুপে। ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানি থাকে ‘বি’ গ্রুপে। আর লভ্যাংশ না দিতে পারা কোম্পানির স্থান হয় ‘জেড’ গ্রুপে। জেড গ্রুপের কোম্পানিকে শেয়ারবাজারের পচা কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ‘এ’ গ্রুপের ২১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯১টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৭৮টির এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ১৭টি এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ৫টির কমেছে এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৮টি কোম্পানির মধ্যে ৩৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৪২টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারে ‘এন’ গ্রুপে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।

ভালো ও মাঝারি মানের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ১৭৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৭টির। আর ৮৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২২ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৭১ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লাভেলো আইসক্রিম, লিন্ডে বাংলাদেশ, হাক্কানী পাল্প, ব্র্যাক ব্যাংক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, গ্রামীণফোন এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৩টির এবং ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

 

টি আই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *