
গাছ থেকে আম পাড়া ও বাজারজাত করার জন্য আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, অপরিপক্ব আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা বাজারজাতকরণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আম, ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ল্যাংড়া এবং ৫ জুন আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, চলতি বছরও সাতক্ষীরা জেলা থেকে আম বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য আম নিশ্চিত করতে গুণগতমান রক্ষা এবং নির্ধারিত সময়ের আগে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখা হবে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিটি জাতের আম পরিপক্ব হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আগেভাগে পাড়লে আমের স্বাদ ও গুণগত মান কমে যায়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ ক্ষুণ্ন হয়। ২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে, যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
সাতক্ষীরার আম শুধু বাংলাদেশের বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও জনপ্রিয়। জেলার আবহাওয়া ও মাটি এই অঞ্চলের আমকে করেছে সুস্বাদু, ঘ্রাণযুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।
টি আই/ এনজি