সকাল ১১:০৩ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ভোজ্যতেল নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে: ক্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ এপ্রিল ২০২৫

 

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম বাড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সংগঠনটি বলছে, সম্প্রতি বিশ্ববাজারে ধারাবাহিকভাবে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে বেড়েছে। সিন্ডিকেটটি অতিমুনাফা অর্জন করতে চাইছে। দেশের বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ভোজ্যতেল ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পাঁচ আগস্টের পর পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠা পুরেনো সিন্ডিকেট বর্তমানে সয়াবিন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে ক্যাবের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের শুল্ক ছাড় ও ভ্যাট হ্রাসসহ বিভিন্ন নীতিসহায়তা থাকা সত্ত্বেও কিছু প্রভাবশালী কোম্পানি বাজারে তেলের সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে, এরপরও সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেটরা আরও সাত টাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

বিশ্ববাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২২ সালে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১,৬৬৭ ডলার, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১০২২ ডলারে। অথচ দেশে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বারবার। বর্তমানে নির্ধারিত দামেও বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১১ টাকা বেশি।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর মতে, দেশের ৪-৫টি বড় কোম্পানি মিলে সয়াবিন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সরকারের পূর্ববর্তী সময়েও একই কৌশলে ভোক্তাদের জিম্মি করেছে। এখনো তারা একইভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট আরও বাড়বে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও ব্যবসায়ীরা আরও দাম বাড়ানোর জন্য বাজারে সরবরাহ বাড়ায়নি, যা সরকারের আইন ও নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল। ব্যবসায়ীদের এধরনের আচরণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

ক্যাব ভোক্তাদের স্বার্থে অবিলম্বে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, বাজার তদারকি জোরদার করা এবং সরকারের নীতিসহায়তার যথাযথ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছে।

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *