আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৬ মে ২০২৫
ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুদ্ধবিমান থেকে ভয়াবহ হামলা চালিয়েয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার হামলা চালিয়ে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধান ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে গত রোববারে হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সানা বিমানবন্দরে ওই হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দরের ফ্লাইট রানওয়ে, বিমান এবং মূল অবকাঠামোতে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা করা হয়েছে।
ইয়েমেনের এই বিমানবন্দর হুথিদের অস্ত্র ও কর্মী স্থানান্তরে সরকারের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে আসছিল বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব বিশ্বের দরিদ্র দেশ ইয়েমেনের রাজধানীতে একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি হামলায় সানা বিমানবন্দরে কালো ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার পরপরই সানায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং হুথি-নিয়ন্ত্রিত বন্দরনগরী হোদেইদাতেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, সানা বিমানবন্দরের রানওয়ে ও বিমান হামলা করায় বিমানবন্দরটি ‘‘পুরোপুরি’’ অকেজো হয়ে গেছে। তবে এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে ওই বিমানবন্দরে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।
এর আগে, রোববার প্রথমবারের মতো তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেন থেকে ছোড়া হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত এবং অন্তত ছয়জন আহত হন।
হুথি কর্তৃপক্ষ বলেছে, সোমবার ইসরায়েলের প্রাথমিক পাল্টা হামলায় হোদেইদাহ বন্দরের একটি সিমেন্ট কারখানায় অন্তত চারজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সানা বিমানবন্দরের মূল অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে।
সূত্র: এএফপি / এনজি