রাত ১১:৪৭ | শুক্রবার | ২৩ মে, ২০২৫ | ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, গ্রীষ্মকাল | ২৪ জিলকদ, ১৪৪৬

শেষের ঝড়ে সম্মানজনক স্কোর বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২১ মে ২০২৫

 

 

৭১ রানে ৭ উইকেট, ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। কতদূর যেতে পারবে বাংলাদেশ? ১০০ পার হতে পারবে তো? এমন শঙ্কা যখন দেখা দিয়েছিল, তখন হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাকের আলি অনিক।

৩৪ বলে ৪১ রানের মোটামুটি ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন জাকের। শেষ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ঝড় তোলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দু’জন মিলে ২৬ রান নেন এই ওভার থেকে। যার ফলে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক ১৬২ রানে গিয়ে শেষ হয়। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম।

আরব আমিরাতের মত দলের বিপক্ষে এসে এতটা বাজে অবস্থা হবে বাংলাদেশ দলের, ঘুণাক্ষরেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি। প্রথম দুই ম্যাচের ঠিক উল্টো চিত্র আজকের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে। টস জিতে কেন বারবার আরব আমিরাত অধিনায়ক বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়, সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো আজ।

প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের চেপে ধরতে না পারলেও আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ঠিকই চেপে ধরতে পারলেন। শুরু থেকেই একের পর উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। তবে শেষের ঝড়ে বাংলাদেশের রান পৌঁছায় ১৬২ পর্যন্ত।

শুরুটা করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ছিল তার নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বল। ধ্রুব পারাশারের বলে আলিশান শরাফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি।

এরপর তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপর্যয় কাটাতে। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন দাস হায়দার আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শুরু। তানজিদ হাসান তামিম একপাশে থেকে কিছুক্ষণ একা একা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি।

তাওহিদ হৃদয় পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। আজ তো কোনো রানই করতে পারলেন না। ২ বলে শূন্য রানে বিদায় নিলেন। ৯ বল খেলে শেখ মেহেদী হাসান আউট হন ২ রান করে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। আজ সুযোগ পেলেন এবং ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।

শামীম হোসেন পাটোয়ারী নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। রিশাদ হোসেন ব্যাট হাতে যতটা সম্ভাবনাময়ী ছিলেন, তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারলেন না। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নিলেন।

তানজিদ তামিম খেললেন ১২ বল। ৬ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। জাকের আলি অনিক শেষ দিকে এসে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন; কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তার সেই লড়াই আর খুব একটা জমে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান।

আরব আমিরাতের হায়দার আলি ৩টি উইকেট নেন। সগির খান ২টি ও মাতিউল্লাহ খান নেন ২ উইকেট।

 

টি আই/এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *