বিশেষ সংবাদ
মোহাম্মদ জাফর ইকবাল
১৩ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো ধরণের দূরত্ব নেই বরং সু-সম্পর্ক রয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। একই সুরে কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও। তিনি বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো দূরত্ব আসেনি। তাদের সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম না, আমরা জোটে ছিলাম। যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের আর জামায়াতের সব কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিল। আমরা আশা করব, আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকব, তারাও থাকবে।
সূত্র মতে, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বদলে গেছে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী মহাজোট সরকারকে সরাতে গত দেড় যুগ ধরে জোটগত বা পৃথকভাবে আন্দোলনে থাকা প্রায় সব দলই ৫ আগস্টের পর নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটেনি বিএনপি ও জামায়াতের ক্ষেত্রেও। প্রত্যেক দলই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মতো করে কাজ করে যাচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন দল ও জোটের মধ্যে মত প্রার্থক্য দেখা দিয়েছে। তবে ফ্যাসিবাদ বিষয়ে সবাই একট্টা রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সময় এবং প্রেক্ষাপট বিএনপি ও জামায়াতকে কিছুটা আলাদা করেছে। আবার সময়ই বলে দেবে ভবিষ্যতে রাজনীতির মাঠে দুই দলের সম্পর্ক কেমন হবে। তারা বলছেন, যে বা যারা যাই বলুক না কেন, বিশেষধাগার যাই হোক না কেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও ফ্যাসিবাদ ইস্যুতে তাদের ঘনিষ্ঠতা খুব গভীর হবে। কারণ, দুটি দলই দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে স্বোচ্চার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গেল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিনের দুই শরিক বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পরস্পর দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে করা হলেও সেটি গৌন বিষয়। বিভিন্ন মহল থেকে নানা বক্তব্য আসলেও দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটের নতুন মেরুকরণে দু দলই ভূমিকা রাখবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, অতীতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে যে সম্প্রীতি ছিল তা ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে। বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের সিনিয়র নেতারাও বার্তা দিয়ে বলেছেন, তারা তাদের ঐক্য নষ্ট করতে চান না। কারণ, তারা বিশ্বাস করেন যেকোনো বিভক্তি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসাকে সহজ করতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো ধরণের দূরত্ব নেই বরং সু-সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। গত ১১ জানুয়ারি পৃথক দুটি কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. তাহের বলেন, আগামী দিনের রাজনীতি হবে ইতিবাচক এবং সকল দলেই ইতিবাচক হবেন এটা আমরা আশা করি। সুতরাং বিএনপি যে ঐক্যের কথা বলেছেন এবং জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই, আমি মনে করি উনারা এটি সঠিক কথা বলেছেন। এখন যারা রাজনীতি করছে অর্থাৎ ইসলামীসহ অন্যান্য দল তাদের সকলের সঙ্গে আমরা সু-সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছি। যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
আজ সোমবারও বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের তেমন কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, জামায়াত ও বিএনপি জাতির কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করবে। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফারনান্দো দিয়াস ফেরেস এর বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। ছোট ছোট বিষয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন দিকে কথা বলছেন।
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো দূরত্ব আসেনি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপি সবাই থাকবে। গত শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম না, আমরা জোটে ছিলাম। যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের আর জামায়াতের সব কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিল। আমরা আশা করব, আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকব, তারাও থাকবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দূরত্বের কিছু নেই। তারাও (জামায়াত) গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায়। তারা মানুষের অধিকারের কথা বলেন, আমরাও বলি। আমরা সবাই দেশপ্রেমিক।
সূত্র মতে, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে একটি স্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেশ বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় জামায়াতের। এরপর বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে ১৯৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর জোট বাঁধে জামায়াতে ইসলামী। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে দল দুটির মধ্যে কিছু টানাপোড়েন তৈরি হলেও জোট নিয়ে কোনো ধরনের সংকট তৈরি হয়নি। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একসঙ্গে অংশ নেয় দল দুটি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ একটানা সাড়ে পনেরো বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জামায়াতের শুধু না বিএনপিরও এক নেতার ফাঁসি হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গৃহবন্দি ছিলেন। এই সময় জামায়াত-বিএনপির মধ্যে নানা সংকট হলেও রাজনৈতিক জোট ছিল দুই বছর আগ পর্যন্ত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দুদল আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ভেঙে দিয়ে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে শুরু করে। তবে গেল দুই বছর দল দুটির মধ্যে সখ্যতা বাড়ে। উভয় দলই গেল বছর একে অপরের ইফতার মাহফিলে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এছাড়া ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরই সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক, নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া কিংবা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, সব জায়গায় বিএনপি ও জামায়াত একসঙ্গেই অংশ নিয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল গত পনেরো বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা অন্য আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জামায়াত নেতাদের নেতিবাচক বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, জামায়াত নেতাদের তাদের রাজনৈতিক বক্তব্যের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ বিএনপি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার দিকে মনোনিবেশ করছে। সেখানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিএনপির কিছু নেতা পুরোনো শব্দ ও অবমাননাকর বাক্য ব্যবহার করে জামায়াতের বিরুদ্ধে কটুক্তি করছেন। তিনি বলেছেন, জামায়াত সম্পর্কে এত পুরোনো বক্তব্য দেশের মানুষ গ্রহণ করেনি। তারা যদি এসব সেকেলে বক্তব্য গ্রহণ করতেন তাহলে জামায়াতের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক সম্প্রসারণ বাড়ত না। তিনি বলেন, জামায়াতের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় কিছু বিএনপি নেতা ঈর্ষা ও হিংসার বশবর্তী হয়ে এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন। আকন্দ অবশ্য দাবি করেন, কিছু নেতা মৌখিক বাক্য বিনিময় করলেও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে উভয় দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। জামায়াতের এই নেতা বলেন, দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই। দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতিও হয়নি। কিছু নেতা হতাশা ও অহংকার থেকে মন্তব্য করছেন। এটা সাময়িক অবস্থান। মূল ঐক্য অটুট রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে জামায়াত ও বিএনপি তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে তৃণমূলের সংগঠনকে উজ্জীবিত ও সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। উভয় দলই নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে নির্বাচনের আগে হয় দুই দল পুনরায় একত্রিত হবে, না হয় নতুন মেরুকরণ হবে।
বিষয়টি নিয়ে জামাযাতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে বলেন, দলগত কোনো সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি বা আমাদের মধ্যে কোনো গ্যাপ তৈরি হচ্ছে এমন না। এটা দল ভার্সাস দল এভাবে আমরা দেখি না। গণতান্ত্রিক দেশে মানুষের মত প্রকাশের অধিকার আছে। একইসঙ্গে কোনো নেতা যদি বক্তব্য রাখেন, সেটা দলের অপিনিয়ন (মতামত) না ব্যক্তির নিজের বক্তব্য এটা জনগণ ডিসাইড করবে।
রাজনীতিতে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা দুই দলের এমন অবস্থানকে অবশ্য স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, যখন আওয়ামী লীগ মাঠে ছিল, তখন আওয়ামী লীগ ছিল তাদের উভয়ের প্রধান শত্রু। শত্রুর প্রধান শত্রুর বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে ঐক্য হয়েছিল। এখন নির্বার পরিবেশে সবাই যার যার মতো রাজনীতি করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফার মতে, রাজনীতির খেলায় সবই সমীকরণ। এতদিন যে সমীকরণের কারণে জামায়াত বিএনপি সাথে ছিল, সেই একই সমীকরণের কারণে তারা এখন একসাথে থাকতে পারবে না। আর নতুন সমীকরণ তারা করবে এটাই স্বাভাবিক।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বর্তমান অবস্থানকে দলটির রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল এবং আমার মনে হয়েছে এটা একটা রাজনৈতিক কৌশল। যেভাবে তারা প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে বিরাজ করছে বা প্রতিটি কন্সটিটিউন্সিতে তারা যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলছে, সেটা আসলে রাজনৈতিক কৌশল বা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা বা তাদের রাজনীতিকে পরিচিত করার একটা কৌশল হতে পারে।
দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বাগযুদ্ধ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, উভয় দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে বলছে। কারণ হলো ৫ আগস্টের পর পুনর্গঠিত ক্ষমতা কাঠামোতে বিএনপির লোকজন হয়তো কম স্থান পেয়েছেন। সে কারণে তাদের অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। পুনর্গঠিত ক্ষমতা কাঠামোতে সবার সমান সুযোগ নেই। সেজন্যই পরস্পরের বাগযুদ্ধ হচ্ছে। এই সরকারের উচিত ৫ আগস্ট ঘিরে সব রাজনৈতিক দলসহ স্টেকহোল্ডারদের ক্ষমতা কাঠামোতে স্থান দেওয়া। তা না হলে ঐক্য হবে না। আমাদের অবস্থান থেকে এমন কিছু বলা ঠিক নয়, যাতে ঐক্য বিনষ্ট হয়।
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন বক্তব্যে বলেন, তাদের যে জোট ছিল, আন্দোলনের জন্য জোট, সেটা অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গেছে।
জা ই / এনজি