সন্ধ্যা ৬:৪৯ | শনিবার | ২৪ মে, ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, গ্রীষ্মকাল | ২৫ জিলকদ, ১৪৪৬

যোগ্য লোকদেরই বোর্ডে চান তামিম ইকবাল

বিশেষ সংবাদদাতা
০৩ মে ২০২৫

তিনি একা নন। তার দুই পূর্বসূরি মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর খালেদ মাসুদ পাইলটও এসেছিলেন ছিলেন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে। তবে পার্থক্য একটাই, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে হওয়া ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক নান্নু আর পাইলট ছিলেন দর্শকের সাড়িতে। তারা মঞ্চেই ওঠেননি। কথাও বলেননি। আর জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া তামিম ইকবাল ছিলেন মঞ্চে। কথাও বলেছেন।

এতটুকু শুনে ভাববেন না তামিম অন্য কোনো ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। তামিম তার নিজের অনুভবটাই প্রকাশ করেছেন। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনারের উপলব্ধি, বিভিন্ন সময় যেসব সংগঠক জেলা ও বিভাগ থেকে বোর্ডে এসেছেন, তারা বিসিবি পরিচালক হওয়ার পর আর নিজ জেলা ও বিভাগের ক্রিকেটের খবর রাখেননি।

এছাড়া আরও একটি মন্তব্য করেছেন তামিম ইকবাল। তার সোজা কথা, জেলা ও বিভাগ পর্যায় থেকে যে বা যারাই বোর্ডে আসুন, তাদের যেন ক্রিকেটের বেসিক জ্ঞানটা থাকে।

দেশের ক্রিকেটের এ বড় তারকার কথা, ‘আমি ছোট হয়ে আপনাদের একটা জিনিস অনুরোধ করব; জেলা থেকে হোক বা বিভাগ থেকে হোক, যারা যোগ্য ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, যাদের বেসিক ক্রিকেটিং আইডিয়া আছে, যাদের একটা স্বপ্ন আছে যে- আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এই জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমি এটাই অনুরোধ করব যেন তাদেরকেই ভবিষ্যতে সিলেক্ট করা হয়।’

নিজের দেখা অভিজ্ঞতা মেলে ধরে তামিম বলেন, ‘অতীতে আমি অনেকবার দেখেছি কেউ যখন জেলা বা বিভাগ থেকে আসেন ক্রিকেট বোর্ডে , পরবর্তীতে ওনারা ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর হয়ে নিজ জেলা-বিভাগকে ভুলে যান। এমন অনেক জেলায় গিয়েছি আমি কয়েকদিন আগে, বরিশালেও গিয়েছি; এসব জায়গায় স্ট্যান্ডার্ড মানের একটা ক্রিকেট লিগও হয় না। ক্রিকেটকে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খেলা মনে করি। অন্যান্য খেলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি। তবে সবচেয়ে বড় খেলায় যদি এমনটা হয়, কেউ যদি নিজের জেলা-বিভাগে ক্রিকেটে উন্নতি না করে, তাহলে তার বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই।’

 

 

শ উ / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *