রাত ৪:১৮ | বৃহস্পতিবার | ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

প্রতারণা মামলায় আবার ডাক পড়ল জ্যাকুলিনের

নিউজগেট২৪
বিনোদন ডেস্ক
১০ জুলাই ২০২৪

২০০ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণা মামলায় আবার বিপাকে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। এ মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জ্যাকুলিনকে আবার তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
ইডির অভিযোগ ছিল, সুকেশ চন্দ্রশেখর তাঁর অপরাধমূলক কাজ থেকে আয় করা অবৈধ অর্থ জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের জন্য উপহার কিনতে ব্যবহার করেছেন।

তদন্তকারীদের দাবি, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের ফৌজদারি মামলায় জড়িত থাকার কথা জানতেন। সুকেশ যে বিবাহিত ছিলেন, জ্যাকুলিন সে কথাও জানতেন।

তবু অভিনেত্রী বিষয়গুলো উপেক্ষা করে সুকেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেছিলেন। ইডির দাবি, অভিনেত্রী অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জেনেশুনে প্রতারণায় শামিল হয়েছেন।

আর তাই এই আর্থিক তছরুপের মামলায় আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জ্যাকুলিনকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। ১০ জুলাই এ মামলায় জ্যাকুলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইডি আদালতকে জানিয়েছিল জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি, বরাবরই তথ্য গোপন করে গেছেন। জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পর নিজের মুঠোফোন থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছেন। যার অর্থ প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তাঁর সহকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।

এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি আরও জানিয়েছিল জ্যাকুলিন সুকেশের কাছ থেকে শুধু ৫ কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার ৯৪২ রুপির উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যা তাঁর ভাই ও বোনের, সেখানেও ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

হলফনামায় বলা হয়, অভিনেত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। তিনি যে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের আসল নাম জানেন, সে কথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তী সময়ে প্রমাণ হয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।
নতুন করে ইডির তলব পাওয়া নিয়ে জ্যাকুলিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

জা.ই/এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *