রাত ২:২৮ | বৃহস্পতিবার | ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে অযাচিত চাপ না দেওয়ার আহ্বান এবি পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ আগস্ট ২০২৪

নতুন গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অযাচিত চাপ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলটি বলছে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের পর একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে চ্যালেঞ্জ কাঁধে তুলে নিয়েছে এই সরকার। সবাইকে ধৈর্য ধরে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এ কথা বলেন। তাঁরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং সাফল্য কামনা করেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেটা এক অভূতপূর্ব নতুন পরিস্থিতি। দীর্ঘ সময় ধরে চলা ফ্যাসিবাদী শাসনে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পেশাগত দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয়ভাবে বিভক্তি তৈরি করা হয়েছে সর্বক্ষেত্রে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়, যা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে মহাকঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে এবি পার্টির নেতারা বলেন, একদিকে গত ১৬ বছরে হাজার হাজার গুম, খুন, মিথ্যা মামলা ও জুলুম নির্যাতনের সুবিচারের প্রশ্ন; অন্যদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল, নির্লজ্জ দলীয়করণ, লাখ লাখ মানুষকে তাঁদের পেশা ও ব্যবসাজীবনে বঞ্চনা-শোষণের মাধ্যমে নিঃশেষ করে দেওয়ার করুণ ইতিহাসের সুষ্ঠু সমাধান এবং ক্ষতিপূরণের নৈতিক দায় রয়েছে।

মানুষ বছরের পর বছর ভোট দিতে পারেননি জানিয়ে দলটির নেতারা বলেন, নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে দেশান্তর হতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। অন্যায়ভাবে নিজের কর্মস্থল ও পেশা হারিয়েছেন অগণিত মানুষ। এমন বহুবিধ প্রত্যাশার চাপ নিয়ে পৃথিবীতে কোনো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে কি না, তা তাঁদের জানা নেই।

এবি পার্টির নেতারা সব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিককে এই সরকারের ওপর এখনই নানামুখী চাপ সৃষ্টি না করে ধৈর্যের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণের আহ্বান জানান। তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ড. ইউনূস এবং তাঁর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার সর্বাত্মক আন্তরিকতা, অভিজ্ঞতা ও পরিশ্রমী মনোভাব নিয়ে কাজ করলে ছাত্র-জনতার স্বপ্নপূরণ সম্ভব।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জনগণ আশা করে, অন্তর্বর্তী সরকার সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে নির্দিষ্ট সময়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে একটি অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর দিকনির্দেশনা দেবে।

 

জা ই/ এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *