নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ আগস্ট ২০২৪
চিকিৎসকের অনুমতি পেলেই বিদেশে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এমনটিই জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তারা বলেছেন, বেগম জিয়া এখন মুক্ত। এই্ ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার অনুমতি দেয়নি। তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। নেতৃবৃন্দ বলছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন।
সূত্র মতে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কথিত দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি করে আওয়ামী লীগ সরকার। ৭৪তম জন্মদিনে ছিলেন নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে। পরে কারাবন্দি অবস্থায় ৭৫তম জন্মদিনে ছিলেন হাসপাতালে। এবার ৭৯তম জন্মদিনেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রী। তবে এবার তিনি কারামুক্ত। ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরিবার থেকে বারবার আবেদন করলেও ফিরিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ছাড়লে ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।
বিএনপি সূত্র বলছেন, গত কয়েক বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে নানা অজুহাতে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল পাসপোর্ট অধিদপ্তর। গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার দিন রাতেই তার নবায়নকৃত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ও চিকিৎসকদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া ১৫-২০ ঘণ্টার লম্বা জার্নি করার মত শারীরিক অবস্থা নেই। যে কারণে এই মুহূর্তে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে অনুমতি দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে তার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন চিকিৎসদের অনুমতি পেলেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে ১৫-২০ ঘণ্টা জার্নি করার মতো ম্যাডামের সেই শারীরিক অবস্থা আছে কিনা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে গেলাম, কিন্তু লম্বা জার্নি করার পর যদি শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায় তাহলে তো লাভ নেই। তিনি বলেন, যখন চিকিৎসকরা অনুমতি দেবেন, তখনই আমরা চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেব। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। এখন শুধু চিকিৎসকদের অনুমতির অপেক্ষায় আছি।
বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, আগের মতোই আছেন। উনার শারীরিক অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো।
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে ম্যাডামকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে। তখন ভিসা কোনো বাধা হবে না। উনার ভিসা পেতে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা লাগবে। বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে তো আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ও ভালো সম্পর্ক আছে।
জা ই / এনজি