রাত ৯:২৩ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চতুর্থবারে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বেন তাওহীদ হৃদয়?

স্পোর্টস ডেস্ক

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

 

 

চিটাগং কিংসের বিপক্ষে দেখা গেল সেই চেনা তাওহীদ হৃদয়কে। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। চোখ জুড়িয়ে দেয়া সব শট। ৮২ রানের ইনিংস খেলে ফরচুন বরিশালকে ফাইনালে তুলেছেন সত্য। সেইসঙ্গে হয়ত নিজের ভাগ্যটাও বদলাতে চাইবেন তাওহীদ হৃদয়। বিপিএল ফাইনালের সঙ্গে হৃদয়ের অতীতটা যে ফরচুন বরিশালের জন্য স্বস্তির না– সেটা হয়ত মেনে নিতে হবে নিতান্ত অনিচ্ছাতেও।

বিপিএলের ফাইনালে গত কয়েক আসরেই নিয়মিত মুখ হৃদয়। যার শুরুটা ২০২২ সালের আসর দিয়ে। সেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। হৃদয় তখন বরিশালের লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটার। কুমিল্লার ১৫১ রানের বিপরীতে ব্যাট করতে গিয়ে বরিশালের ইনিংস থামে ১৫০ রানে। ১ রানে বরিশালের হারের দিনে ক্রিজে ছিলেন হৃদয়। ৯ বলে ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

২০২৩ সালের বিপিএলে তাওহীদ হৃদয় ছিলেন উড়ন্ত ছন্দে। তুষার ইমরানের কোচিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৪০৩ রান। কিন্তু ফাইনালে ২ বলে ডাক মেরে ফেরেন সাজঘরে। হৃদয়ের ব্যর্থতার দিনে সিলেটও পায়নি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। কুমিল্লার কাছেই ৭ উইকেটের হার।

টানা দুইবার কুমিল্লার কাছে ফাইনাল হারের পর ২০২৪ সালে কুমিল্লাতেই নাম লেখান হৃদয়। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ছিল তার ৬৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। কিন্তু ফাইনালের বড় মঞ্চে ফের ব্যর্থ তিনি। বরিশালের বিপক্ষে করলেন মোটে ১৫। আর ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ফরচুন বরিশাল ম্যাচ জিতে নেয় ৬ উইকেট হাতে রেখে।

যার অর্থটা সহজ। বিপিএলের সবশেষ ৩ আসরেই ফাইনাল খেলেছেন হৃদয়। কিন্তু কোনোবারেই শিরোপায় হাত রাখা হয়নি তার। গতকাল সোমবার ২০২৫ বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খেলেছেন ৮২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। নিশ্চিত করেছেন নিজের টানা চতুর্থ ফাইনাল। যে দলের হয়ে প্রথম বিপিএল ফাইনাল খেলার স্বাদ পেয়েছিলেন, তিন বছর পর সেই বরিশালের জার্সিতেই ফের ফাইনালে তিনি।

প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে দারুণ পারফরম্যান্সের পর হৃদয় ফেসবুকে লিখেছেন, পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছিল তার প্রতি। সেটার প্রতিদান একেবারে শেষ সময়ে ঠিকই দিয়েছেন জাতীয় দলের নিয়মিত এই মুখ। কিন্তু, পরের ম্যাচটা আরও বড়। হৃদয়ের দুর্ভাগ্যের শিকে ছিড়বে তো এবারে? নাকি আরেকবার ফাইনালের মঞ্চ ছাড়বেন হারের হতাশা নিয়ে।

 

 

টি আই/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *