নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে চাকুরীচ্যুতদের শান্তিপূর্ণ কর্মর্সুচিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এসময় বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ হামলার পেছনে গ্রামীণফোনের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সূত্র মতে, ‘চাকুরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে বসুন্ধারায় জিপি হাউসের সামনে আজ মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। গ্রামীণফোনের চাকুরিচ্যুত ও মুনাফায় ৫% লভ্যাংশের বিলম্ব, জরিমানা, জোরপূর্বক স্বেচ্ছা অবসর এবং অন্যান্য অন্যায়ের শিকার ভুক্তভোগী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার ও কাল বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলকারী শ্রমিকরা।
জানা গেছে, গতকাল নিজেদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিল গ্রামীণফোন থেকে চাকরীচ্যুত ও সুবিধাবঞ্চিত তিন শতাধিক শ্রমিক। এ সময় সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চারায় পুলিশ। এই হামলায় আন্দোলনের আহ্বায়ক শোয়েবসহ অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের আশপাশের হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া পুলিশ ৩ নারী ও ৮ পুরুষ আন্দোলনকারীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে ভাটারা থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতদের মধ্যে সুমন, মেহেরুল, জাহিদুর, প্রিন্স এই চারজনের নাম পাওয়া গেছে।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূুচিতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘চাকুরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তি ও আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান। পাশাপাশি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের এই অগণতান্ত্রিক ও দমনমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সারাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজকে শ্রমিকদের পাশে থাকার আহবান জানান তারা।
কর্মসূচীতে সারা দেশ থেকে গ্রামীণফোনের প্রতারণা ও অন্যায়ের শিকার ভুক্তভোগী শ্রমিকদের তিনদফা দাবি হচ্ছে, মুনাফায় লভ্যাংশের বিলম্ব ও জরিমানা অতি দ্রুত বিতরণ করতে হবে। জোরপূর্বক স্বেচ্ছা অবসর ও চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং গ্রামীণফোনের সকল অন্যায় ও অবিচারের অবসান ঘটাতে হবে।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে জিপি হাউসের সামনে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, গত ১২ বছরে ৩ হাজার ৩৬০ জন কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
জা ই / এনজি