রাত ৯:৩৬ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

গাজায় যুদ্ধবিরতি : মিসরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ অক্টোবর ২০২৪

 

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২।

রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলজেরিয়া প্রেসিডেন্ট আবেদলমাজিদ তেবুনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজায় দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন এল-সিসি। প্রস্তাবে তিনি বলেন, গাজায় দুই দিন অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলি বাহিনী। এই দু’দিনে চার জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে কারাবন্দি কয়েক জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েলও।

তারপর ১০ আলোচনা করবে গাজা, ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী দেশের প্রতিনিধিরা। এ আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি গঠন এবং স্বাক্ষর।

চ্যানেল ১২-এর বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এল-সিসি এই প্রস্তাব দেওয়ার পর তা ইসরায়েলের অধিকাংশ এমপি, মন্ত্রী এমনকি ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীও তাতে সমর্থন জানিয়েছে; আপত্তি জানিয়েছেন শুধু নেতানিয়াহু এবং তার অনুগত কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি ও সামরিক কর্মকর্তারা।

কায়রোর সেই সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “গাজায় শান্তি বিষয়ক আলোচনা চলতে পারে, কিন্তু সেজন্য ‍যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নেই। যুদ্ধের মধ্যেই আলোচনা চলবে।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত এক হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরেও নিয়ে যায় তারা।

অতর্কিত এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার পর দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় নামে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র— ৩ দেশ।

এই মধ্যস্থতাকারীদের ব্যাপক তৎপরতার ফলে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী এক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। এ সময় বেশ কয়েক জন জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস, পরিবর্তে প্রায় দেড় শ কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েলও। তবে এখনও হামাসের কব্জায় রয়ে গেছেন অন্তত ১০১ জন জিম্মি।

গোষ্ঠীটির হাইকমান্ডের সম্প্রতি বলেছে যে ইসরায়েল যদি গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং সেখানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, তাহলে একদিনে সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত আছে হামাস।

এখনও এ প্রস্তাবের জবাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি নেতানিয়াহু।

 

টি আই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *