রাত ৯:২৩ | বুধবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কোটা আন্দোলন নিয়ে ছবি আঁকলেন মিথিলার মেয়ে, পোস্ট করলেন সৃজিত

বিনোদন ডেস্ক
০3 আগস্ট ২০২৪

 

বাংলাদেশের বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের অস্থিরতার প্রতিবাদ জানাল সৃজিতকন্যা আইরা। মেয়ের আঁকা ছবি সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৃজিত সামাজিকমাধ্যমে মেয়ের আঁকা একটি ছবি পোস্ট করেন। হাতে আঁকা একটি ছবি। পরিচালক জানান, ছবিটি আইরার আঁকা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে— রাস্তায় কিছু মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশে কিছু মানুষের জমায়েত। তাদের কারও হাতের পোস্টারে ইংরেজিতে লেখা—আমরা বিচার চাই। আবার কারও ব্যানারে লেখা— আমরা স্বাধীনতা চাই।

আবার ছবিটির ওপরের দিকে বাংলাদেশের দেশাত্মবোধক গানের কথা লেখা আছে— ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি।’

মেয়ের আঁকা ছবির ক্যাপশনে পরিচালক লিখেছেন— সম্ভবত আমার ছোট্ট রাজকন্যার আঁকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি। সৃজিত জানান, তিনি মেয়েকে নিয়ে যতটা গর্বিত, আইরার মা রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও বাবা তাহসান রহমানের জন্যও ততটাই গর্বিত।

উল্লেখ্য, মিথিলার সাবেক স্বামী তাহসান রহমান। নিজের পোস্টে মিথিলার পরিবারের কয়েকজনকেও যুক্ত করে নেন সৃজিত। তিনি লেখেন— গোটা পরিবার ওকে খুব সুন্দর করে বড় করে তুলেছে। সৃজিতের এই পোস্টের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনদের একটি একাংশ।

মেয়ের আঁকা ছবির পোস্টেই আবার সৃজিতপত্নী মন্তব্য করেছেন। তিনি আবার এপারের বিশেষ কিছু মানুষকে উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন আইরার— ‘মানুষের মতো মানুষ’ হওয়ার পেছনে এপারের পরিবারের অবদানও যথেষ্ট।

এর আগে আনন্দবাজারের এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানিয়েছিলেন— আইরা সৃজিতকে ‘আব্বু’ বলে ডাকে। মেয়েকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করেন সৃজিত। ২০১৯ সালে মিথিলা ও সৃজিত বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পরিবেশ এখনো অশান্ত। বৃহস্পতিবার সকালেই বৃষ্টিভেজা ঢাকার ফার্মগেটে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন সে দেশের শিল্পীমহলের একাংশ। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে এপার বাংলাও শামিল হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে তার ঝলক মিলেছে। এবার রাফিয়াত রশিদ মিথিলার জন্য আইরার প্রতিবাদী সত্তাকেও প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

 

সূত্র: আনন্দবাজার / এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *