জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
২০ মে ২০২৫
কুড়িগ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় শহর ও গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সরকারি বিভিন্ন অফিস, আদালত ও আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারও মানুষ।
সোমবার (১৯ মে) রাত ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিতে জেলার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেলায় ১০২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকে কুড়িগ্রামের জজকোর্ট মোড় এলাকা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুড়িগ্রাম পৌর বাজার থেকে হাসপাতালপাড়া সড়ক, ফায়ার সার্ভিস, হাটিরপাড়, ভকেশনাল মোড় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জমে থাকা হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। এছাড়া রাস্তায় পানি জমে থাকায় অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রশাসন কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পুলিশ লাইন্স, জজকোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কার্যালয়ের মাঠে পানি জমেছে।
অন্যদিকে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের ফসলের জমি ডুবে গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু তার ফেসবুকে জেলা প্রশাসন ও জজকোর্ট এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জলজটে কুড়িগ্রাম গোটা পৌরসভা। পানি নিষ্কাশনের যুগোপযোগী ব্যাবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে অফিস আদালত রাস্তাঘাট ও বাড়িতে জমেছে হাঁটু পানি। ডিসি অফিস, এসপি অফিস, জজকোর্ট, ফায়ার সার্ভিসে এখন থইথই পানি সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ।’
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, ‘বৃষ্টিতে স্টেশনের ভেতরে হাঁটুপানি। রান্নার চুলা ডুবে গেছে। সকালে রান্না হয়নি। সবাই বাইরের হোটেলের খাবার খেয়ে আছি। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সরিয়ে নিয়েছি। চরম দুর্ভোগে আছি।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই তিনদিন কুড়িগ্রাম জেলার আবহাওয়া এরকমই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিমাঞ্চল প্লাবিত হলেও পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই।
মি হো/ এনজি ডেস্ক