সকাল ৯:১২ | শনিবার | ২৪ মে, ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, গ্রীষ্মকাল | ২৫ জিলকদ, ১৪৪৬

ইহরাম অবস্থায় ভেঙে যাওয়া নখ কেটে ফেলা যাবে?

ইসলাম ও জীবন

 

এনজি ডেস্ক
২২ মে ২০২৫

 

 

প্রশ্ন: আমি গত বছর হজে গিয়েছিলাম। ইহরাম অবস্থায় একদিন হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই। ফলে ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখটির বেশিরভাগ ভেঙে যায়। ওটা ঝুলে থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই কেটে ফেলে দিই। এতে কি আমার উপর কোনো দম বা সদকা ওয়াজিব হয়েছিল?

উত্তর: ইহরাম অবস্থায় ভেঙে যাওয়া নখ কেটে ফেলার অনুমতি আছে। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ভাঙা নখটি কেটে ফেলার কারণে আপনার উপর কোনো কিছু ওয়াজিব হয়নি।

এক বর্ণনায় এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, ইহরাম অবস্থায় নখ ভেঙে গেলে কেটে ফেলবে।

ইহরাম অবস্থায় যা করা যাবে না

হজ বা ওমরাহর নিয়তে তালবিয়া পাঠ করে বিশেষ নিয়মে নিজেকে আবদ্ধ করার নামই ইহরাম। ইহরাম সম্পন্ন করার পর স্বাভাবিক অবস্থার মতো সব কাজ করা বৈধ নয়।

মাথা ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ থেকে চুল-পশম মুণ্ডন করা, কাটা বা উপড়ানো এবং নখ কাটা যাবে না।

পুরুষের জন্য সেলাই করা কাপড় পরা নিষেধ। পায়ের পাতার ওপরের উঁচু হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা-স্যান্ডেলও পরা যাবে না। নারীরা স্বাভাবিক সব কাপড় ও মোজা পরতে পারবেন। তবে চেহারায় নিকাব বা চেহারার সঙ্গে লেগে থাকে এমন পোশাক পরা যাবে না। তবে পরপুরুষের নজর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

পুরুষের জন্য মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা নিষেধ।

ইহরামের কাপড়ে বা শরীরে আতর বা সুগন্ধিযুক্ত তেল, পাউডার, স্নো ইত্যাদি ব্যবহার করা নিষেধ।

 

ইহরাম অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী সহবাস করা, কামোদ্দীপক কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া যাবে না।

কোনো বন্য পশু শিকার করা বা শিকারিকে সহযোগিতা করা যাবে না।

ঝগড়া-বিবাদ করা যাবে না। এটি স্বাভাবিক অবস্থায়ও নিষিদ্ধ। ইহরাম অবস্থায় আরও বেশি নিষিদ্ধ।

কাপড় বা শরীরের উকুন মারা যাবে না।

ইচ্ছাকৃতভাবে ফল-ফুলের ঘ্রাণ নেওয়া এবং সুগন্ধিযুক্ত খাবার খাওয়া মাকরুহ।

 

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *