দুপুর ১:৩৫ | বৃহস্পতিবার | ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

আলোর উৎসবে এক টুকরো আলো কাঞ্চন-শ্রীময়ীর জীবনে

বিনোদন ডেস্ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪

 

২০২৪ সালের দীপাবলি স্মরণীয় হয়ে থাকবে টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের জীবনে। কারণ আলোর উৎসবে এক টুকরো আলো তাদের ঘরে। কোল আলো করে এলো কন্যাসন্তান। মা হলেন শ্রীময়ী, আর বাবা হলেন কাঞ্চন। এ মুহূর্তে তারা দুজনে খুশিতে আহ্লাদে আটখানা।

আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনসূত্রে জানা গেছে, কেমন আছেন নতুন মা আর সদ্যোজাত? হাসপাতাল থেকেই জানালেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। গলায় ক্লান্তি আর তৃপ্তি মিলেমিশে একাকার। তিনি বলেন, মেয়ে ভালো আছে। আমিও ভালো আছি। তবে ধকল গেছে একটু, তাই ক্লান্তি রয়েছে। শ্রীময়ী বলেন, খুশিতে আত্মহারা কাঞ্চন। কালীপূজার পরেই বাড়িতে কন্যাসন্তান!

অন্যদিকে বিধায়ক কাঞ্চন বলেন, দেবীই কন্যা রূপে তার ঘরে। তবে কার মতো দেখতে হয়েছে এখনই বুঝতে পারছেন না নতুন মা-বাবা। অভিনেত্রীর দাবি, খুব ফুটফুটে দেখতে। বেবিকট আলো করে শুয়ে আছে। শ্রীময়ী বলেন, কাঞ্চন তার কন্যার নাম রেখেছেন কৃষভি।

এর আগে কালীপূজার দিন কাঞ্চন-শ্রীময়ী যুগল ভিডিওবার্তায় ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানান। তখনই অভিনেত্রীকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু। অনুরাগীরা বলেছেন, তার গর্ভ স্পষ্ট। বিষয়টি জানতে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তখনও কিচ্ছু জানাননি অভিনেতা দম্পতি।

শ্রীময়ী বলেন, কাঞ্চন আমার সঙ্গে ছিল। সারাক্ষণ পাশে বসে গল্প করেছে। অস্ত্রোপচারে মেয়ের জন্মের পরেই আনন্দে চিৎকার করে ওঠে। খবর পেয়ে দুই পরিবারের সব সদস্য হাসপাতালে হাজির। অভিনেত্রী বলেন, আমার মা-বাবা খুব খুশি। বাড়ির ছোট মেয়ে আমি। দিদির বিয়ের ১৮ বছর পর বাড়িতে আবার শিশুর কলরব। ওরা আনন্দে কেঁদেই ফেলেছেন।

ছেলে বা মেয়ে নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। সুস্থ সন্তান পৃথিবীর আলো দেখুক, এটিই প্রার্থনা ছিল তাদের। আপাতত দিন পাঁচেক হাসপাতালে থাকতে হবে মা ও নবজাতককে। তার পর বাড়ি ফিরবেন তারা।

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *