নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মে ২০২৫
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতারা উদ্বেগের সাথে বলেছেন, রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া মিয়ানমারে মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ সরকারের জন্য সঠিক হবে না। কারণ এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত আছে। অন্তর্বর্তী সরকার বনাম রাজনৈতিক দল ও জনগণকে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চলছে। দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে সকলকে আরও পারস্পরিক সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ তথ্য জানায়।
এর আগে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য কোনো কমিশন এত বিতর্কে না জড়ালেও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সরাসরি ইসলামের মৌলিক বিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। চরম বিতর্কিত এই কমিশন ও তাদের প্রস্তাবনা সমূহ বাতিলে কালক্ষেপণ সরকারের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। কারণ, উক্ত কমিশন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সূত্রপাত ঘটাতে চায়।
জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করার ফ্যাসিবাদী শাসনামলের পুরোনো বয়ান গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আবারো উচ্চকিত হচ্ছে। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তিকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরো সজাগ থাকার পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারসহ সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এবারের বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।
খেলাফত মজলিস মনে করে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন সময় হচ্ছে, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার। শাপলা গণহত্যার কমিশন গঠন করে অবিলম্বে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনী সুষ্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা দেওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, আবু মুসায়্যিব, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, অধ্যাপক আজিজুল হক, নূর হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, আবুল হোসেন, আমির আলী হাওলাদার, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জা ই / এনজি